চতুর্থ দিনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনে আগুন ও ভাংচুর

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩, বিকাল ০৬:৩২


বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চতুর্থ দিনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ রেখে বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর করে। এসময় তারা উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এমনতাবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পরিবহনে আটকে পরা হাজার হাজার যাত্রীদের। 

এলাকাবাসী, শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টানা চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবারও প্রথমে উপজেলার মৌচাক এলাকায় সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। সড়ক অবরোধ করে হাটতে হাটতে পর্যায়ক্রমে সফিপুর ও পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা পর্যন্ত অবস্থান করছে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। এক পর্যায় উত্তেজিত শ্রমিকরা বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর চালায়। দুপুরে উপজেলার পল্লীবিদ্যু এলাকায় মহাসড়কে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। এ কারণে সকাল থেকেই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এ সড়কে চলাচলরত সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। 

শ্রমিকরা জানান, তাদের নুন্যতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবি, দ্রব্যমূল্যেও যে উর্ধ্বগতি, সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রায় এক যুগ আগে শ্রমিকদের যে নুন্যতম বেতন ৮ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছিল। দ্রব্যমূল্যের দামের যে উর্ধ্বগতি এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা এবং পরিবার নিয়ে এখানে ভাড়া থেকে কোন রকম বেঁচে থাকাটা তাদের জন্য খুবই কষ্টস্বাধ্য ব্যাপার হয়ে গেছে। 

শ্রমিকরা জানান গত ২৩ অক্টোবর থেকে আমরা এ আন্দোলন শুরু করেছি। আমাদের দাবি দাওয়া যতক্ষণ পর্যন্ত শিল্প কর্তৃপক্ষ মেনে না নিবে আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে। 


শিল্প পুলিশের ওসি নিতাই সরকার জানান, সকালে মৌচাক এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান করে শ্রমিকরা। এরপর শ্রমিকরা সফিুপুর এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে। এরই মধ্যে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা শ্রমিকরা বিক্ষোভ করতে শুরু করে। যার ফলে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়াসহ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে দুপুরের দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিআরসেল গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা ছত্র ভঙ্গ হয়ে গেলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বেলা ২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

এমএসি/আরএইচ

Link copied