টানা অবরোধ ও শ্রমিক বিক্ষোভে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন
শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩, বিকাল ০৭:০৫

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল অবরোধ ও শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। স্থবির হয়ে পড়েছে জীবন মান।
ডলার সংকটের কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় এমনিতেই গত কয়েক মাস যাবত দ্রব্যমূল্যের লাগান যাচ্ছে না। এরপরেও টানা ভিক্ষুভ ও অবরোধের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। জীবনমান হয়ে পড়ছে অসহনীয়।
দিনমজুর সহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে।
অপরদিকে মধ্যবিত্তদের কপালেও দেখা যায় দুশ্চিন্তার ভাজ। টানা অবরোধের কারণে প্রত্যেকটি দ্রব্য সামগ্রীর মূল্যে বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।
সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মূল্য বেড়েছে ৪০-৬০টাকা পর্যন্ত।
কারণ হিসেবে বিক্রেতারা যানবাহন না চলাচলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, গাড়ি ঘোড়া না চললে আমরা মাল পামু কই। যে কারণে বাজারে এই অস্থিরতা। আবার যদি যানবাহন চলাচল শুরু হয় তাহলে কিছুটা হলেও বাজারের পরিস্থিতি ভালো হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
আজ শুক্রবার কালিয়াকৈরর সফিপুর পল্লী বিদ্যুৎ ও চন্দ্রা এলাকার বাজারগুলোতে সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহ ব্যবধানে প্রত্যেকটি দ্রব্য -সামগ্রী সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। যে কারণে বাজারগুলোতে ক্রেতা সমাগম আগের তুলনায় অনেক কম।
কারণ জানতে চাইলে, সফিপুর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন জানান, দাম বাড়ার কারণে এমনিতেই ক্রেতা কম, তারপরও সন্ধ্যার পরে ক্রেতা সমাগম কিছুটা হলেও বাড়ে। কমের আশায় অনেকে আসেন রাত্রে বাজার করার জন্য।
তিনি আরো বলেন, থআগে নিম্ন আয়ের গরিব মানুষ সন্ধ্যার পর বাজারে আসতো, এখন মধ্যবিত্তরাও লুকিয়ে বাজার করতে আসে রাতের বেলায়।
সন্ধ্যা সাতটায় বাজার করতে আসা নুরজাহান নামের এ গৃহিণীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি এড়িয়ে যান। এরপরেও তাকে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, আমার স্বামী গাজীপুর জজ কোর্টের মুহুরীর চাকরি করেন। এক শিশুকন্যা সহ পাঁচ জনের সংসার। আগে ভালোই কাটছিল এখন আর কুলাতে পারি না; চোখ লজ্জায় পড়ে রাতে বাজার করতে আসি একটু কমের আশায়। আগে রুম ভাড়া পেতাম ২২ হাজার টাকা। বর্তমানে চারটা রুম খালি ভাড়াটিয়া চলে গেছে। এসব ভাবলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে ভুলেই সে চলে গেল।
এমএসি/আরএইচ