হল-মার্কের জেসমিন জামিন পাবেন কি না, জানা যাবে ৩০ জুন
বুধবার, ২২ জুন ২০২২, দুপুর ০৩:৫৭
অর্থ আত্মসাতের মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম জামিন পাবেন কি না, জানা যাবে আগামী ৩০ জুন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হলে আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ তারিখ রাখেন।
আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। জামিনের বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী শুনানিতে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে আপিল বিভাগ অপরাধের গুরুত্ব চিন্তা করেই তাকে জামিন দেননি। ফলে তাকে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই হাইকোর্টের।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মামলা দায়েরের দিন দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে জেসমিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে এ মামলায় ২০১৯ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন পান জেসমিন।
এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করলে আপিল বিভাগ ওই বছরের ১৬ জুন তার জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে ১৫ জুলাই ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. ইমরুল কায়েসের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান। এরপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন জেসমিন ইসলাম। ওই আবেদনের শুনানির পর আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। সে রুলের শুনানি শেষে রায়ের তারিখ রেখেছেন উচ্চ আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হল-মার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন। প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও আমদানি-রপ্তানির ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। ওই সব রেকর্ড ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন করপোরেট শাখায় পাঠানো হয়।
সোনালী ব্যাংক থেকে ওই কাগজপত্রের বিপরীতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে বিলের সমপরিমাণ মূল্য ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা জমা হয়, যা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এমএসি/আরএইচ