এডভোকেট আবু জাহির হবিগঞ্জ-৩ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩, দুপুর ০৪:২২


এডভোকেট আবু জাহির এমপি দীর্ঘ ১৫ ধরে সংসদ সদস্য হিসাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এলাকার শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, অসহায় ও দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, খাবার বিতরণ, মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নে সহায়তা করা, শিক্ষার উন্নয়নে দুটি বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনসহ মানবিক এবং সামাজিক নানা কল্যাণকর কর্মকান্ডের সম্পাদনের কারণে এলাকার জনগণের মাঝে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। করোনা কালীন সময়ে এডভোকেট আবু জাহির এমপি খোলামাঠে কাজ করতে গিয়ে তিনবার কোভিটে করুণা আক্রন্ত হন। দলীয় শৃংখলা রক্ষায় হবিগঞ্জে আওয়ামীলীগের প্রতিটি ইউনিটকে তিনি ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারী হবিগঞ্জের বৈদ্যার বাজারে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাথে গ্রেনেড হামলায় মর্মান্তিকভাবে আহত হন। তিনি হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত নেতা হিসাবে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন।

জনপ্রিয়তা দিক দিয়ে হবিগঞ্জ—৩ আসনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছেন। হবিগঞ্জে একজন মন্ত্রী থাকা সত্বেও মন্ত্রীর আসনের চেয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় সব চেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। তিনি জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকারে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি এডভোকেট আবু জাহির হবিগঞ্জ—৩ আসনে টানা তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। হবিগঞ্জ—৩ আসনে টানা তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্ধারিত গতকাল দুপুরে ফরম জমা দেন। এর আগে রাজধানীতে প্রায় দুই হাজার কর্মী—সমর্থক তাঁকে নিয়ে শোডাউন করে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শোডাউনটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। জেলা—উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি—সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ, সকল সহযোগী সংগঠনে জেলায় নেতৃত্বদানকারী এবং ঢাকায় বসবাসরত সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাবাসীসহ বিভিন্ন উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শোডাউনে অংশ নেন। কর্মী সমর্থকদের মাথায় ছিল বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ টি—শার্ট এবং ক্যাপ। অল্প সময়ে হবিগঞ্জবাসীর এ আয়োজনে ঢাকার রাজপথে ফুটে উঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী আমেজ। পরে এমপি আবু জাহির দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন এবং সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কচি—কাঁচার মেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এতে দেশবরেণ্য হবিগঞ্জের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। আলোচনা সভায় এমপি আবু জাহির সেখানে উপস্থিত হবিগঞ্জবাসীর প্রতি টানা তিনবার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করা এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে মোট কাস্টিং ভোটের ৭০ শতাংশ ভোট তাঁকে দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু জাহির এমপি বলেন, বিগত প্রায় ১৫ বছরে হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ যত উন্নয়ন হয়েছে এসবের কৃতিত্ব সাধারণ মানুষের; কারণ আপনারা নৌকায় ভোট না দিলে আমরা এত উন্নয়ন করার সুযোগ পেতাম না। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল, অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, মশিউর রহমান শামী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, ব্যারিস্টার মোঃ ইফাত জামিল, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার রায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আদিল জজ মিয়া, লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর রেজা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন চৌধুরী সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ সেবুল আহমেদ, ছাদিকুর রহমান মুকুল, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ সাইফ—ই রহমান তন্ময়, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম প্রমুখ। এছাড়াও হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি—সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এডভোকেট আবু জাহির এমপি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে সরকার এগিয়ে চলেছে দৃঢ় প্রত্যয়। আর তাই এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সহযোগী অংশ হিসেবে সফলভাবে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।

দীর্ঘদিন ধরে আমি হবিগঞ্জ, লাখাই, শায়েস্থাগঞ্জ এর সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আমি নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী এলাকার জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলে আশা করছি।

এমএসি/আরএইচ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়

Link copied