'অদম্য এক মনোয়ার হোসেন' গ্রন্থের ২য় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচনে ড. অনুপম সেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩, দুপুর ০২:২৪


চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংগ্ৰামে ব্যারিস্টার মনোয়ার এর মতো অন্যান্যদের এগিয়ে আসতে হবে।"অদম্য এক মনোয়ার হোসেন" গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সমাবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড: অনুপম সেন এ মন্তব্য করেন।


উল্লেখ্য যে, ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র-গণ-আন্দোলন, চট্টগ্রাম উন্নয়নআন্দোলনের ত্যাগী সংগঠক ও পুরোধা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক ও প্রখ্যাতআইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের জীবন ও কর্ম নিয়ে খড়িমাটি থেকে প্রকাশিতশাহরিয়ার খালেদ সম্পাদিত 'অদম্য এক মনোয়ার হোসেন' শীর্ষক সম্মাননা গ্রন্থের "দ্বিতীয়সংস্করণ" এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান ছিল এটি । গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ হয়েছিল গত বছরেরএপ্রিলে এবং অতি অল্প সময়েই এর সকল কপি ফুরিয়ে যায় । প্রথমটির তুলনায় এবারেরটিবেশ বর্ধিত সাইজের হয়েছে এবং এতে ৪১৮ পৃষ্ঠা রয়েছে যাতে নতুন কিছু সংযোজন রয়েছে।


চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম নাগরিকফোরামের
উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্সফ্যাকাল্টির সাবেক ডীন প্রফেসর রনজিত দে । এতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন যাঁর সম্মানেগ্রন্হটি প্রকাশিত হয়েছে সেই ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, অদম্য এক মনোয়ার গ্রন্থেরসম্পাদক বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী শাহরিয়ার খালেদ, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মোঃকামাল উদ্দিন, লন্ডন বারা অফ বাকিং এন্ড ডেগেনহামের কাউন্সিলর ও গ্রেটার চট্টগ্রামএসোসিয়েশন ইউকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ গণি, নারী নেত্রী লাইলাইব্রাহিম বানু, ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মনসুর আলম, সর্বজনাব, মাসুদ খান, কাজীশহীদুল্লাহ, আখতার হোসেন, গোলাম রসুল মান্নান, মোহাম্মদ নূর, শিফায়েত উল্লাহ, ছাত্রনেতা, সালাহউদ্দিন রকী প্রমুখ।


প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন 'চট্টগ্রাম' কলকাতা বোম্মে ঢাকা থেকে বহু প্রাচীন নগর এ নগরএকসময় খুব সম্বৃদ্ধ জনপথ ছিল কিন্তু এতো প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নগরী নানা কারণে পিছিয়েপড়ছে এটা কাম্য নয়। চট্টগ্রাম এর পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ব্যরিস্টারমনোয়ার এর সংগ্ৰাম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার মতো অন্যদের এগিয়ে আসতে হবে।


ব্যারিস্টার মনোয়ার বলেন তিনি সারা জীবন সৎ, আদর্শবান থেকে সব সময় চেষ্টা করেছেনপেশাগত কর্তব্য পালন করতে আর নি:স্বার্থে জনসেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে।


বক্তারা বলেন, ৮০ দশকের শেষের দিকে ও ৯০ দশকের প্রথমার্ধে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নেরজন্য ব্যারিস্টার মনোয়ার সকল মত এ পথের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বলিষ্ঠ আন্দালন গড়তুলেছিলেন বলেই চট্টগ্রামের এতটুকু উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। স্বদেশে আর প্রবাসে তিনি মানবসেবার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন যেটি আগামী দিনে আমাদের প্রজন্মকে উৎসাহিতকরবে। এই গ্রন্থ থেকে তাদের শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে ।

এমএসি/আরএইচ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়

Link copied