আফগানিস্তানকে ২৯২ রানের লক্ষ্য দিল শ্রীলঙ্কা

ক্রীড়া ডেস্ক

মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বিকাল ০৭:৪৯


হারলেই এশিয়া কাপ মিশন শেষ। এজন্য দু’দলেরই লক্ষ্য অবিশ্বাস্য কিছু করে জয় তুলে নেয়া। ম্যাচ হারলেও সুপার ফোর নিশ্চিত হবে শ্রীলংকার। কিন্তু অবিশ্বাস্য কিছু না করতে পারলে এশিয়া কাপ শেষ হবে আফগানিস্তানের।
 
এমন জটিল সমীকরণের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে শ্রীলংকা। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৯১ সংগ্রহ করেছে দাসুন শানাকার দল। এতে আফগান আটলানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৯২ রান।
 
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলংকান দলপতি দাসুন শানাকা। লংকানদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন দু’জন। সে ধারাবাহিকতায় নবম ওভারেই দলীয় অর্ধশতক পূরণ করে লংকান ব্যাটাররা।
 
ম্যাচের ১১তম ওভারে প্রথম হোঁচট খায় লংকানরা। গুলবাদিন নাঈবের লেংথ আউটসাইড অফের স্লোয়ারে নবীর তালুবন্দী হন করুনারত্নে। এতে ব্যক্তিগত ৩২ রানেই থামতে হয় লংকান ওপেনারকে। তার বিদায়ের পর বেশিক্ষন উইকেটে থাকতে পারেননি লংকানদের আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাও। ম্যাচের ১৫তম ওভারে নাঈবের বলে কাটা পড়েন তিনিও।
 
দুই ওপেনারের বিদায়ে ক্রিজে আসেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনিও (৩)।
 
ম্যাচের ২৮তম ওভারে ফারুকীকে বাউন্ডারি হাকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৩ নম্বর ফিফটি তুলেন নেন মেন্ডিস। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে ব্যক্তিগত ইনিংস বড় করতে থাকেন আসালংকা। তবে রশীদ খানের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার। তার বিদায়ে বাইশ গজে আসেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। কিন্তু ব্যক্তিগত ইনিংস বড় করার আগে সাজঘরে ফেরেন তিনিও।
 
এরপর দলের হাল ধরতে ক্রিজে আসেন শ্রীলংকান দলপতি দাসুন শানাকা। তবে ম্যাচের ৪০তম ওভারের প্রথম বলেই রশিদের ঘূর্ণিতে ক্যাচ তুলে দেন শানাকা। তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন আফগান লেগি। অবশ্য তাতে ভালোই হয়েছে আফগানদের। ক্যাচ মিস হওয়া বলটি অপর প্রান্তের উইকেটে লেগে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস (৯২)।
 
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে লংকানদের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। শেষের দিকে দুনিথ ও থিকশানা দু’জনের ক্যামিওতে।
 
এদিন আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন গুলবাদিন নাঈব।

এমএসি/আরএইচ

Link copied