মেসির অটোগ্রাফ নেয়ায় চাকরি হারালেন ভক্ত!

ক্রীড়া ডেস্ক

রবিবার, ৬ আগস্ট ২০২৩, সকাল ০৫:০৩


বিশ্বজয়ের পর ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর থেকেই মেসি-জ্বরে কাঁপছে গোটা দেশটি। ফুটবল জাদুকরকে দেখতে, তাঁর খেলা উপভোগ করতে ভিড় লেগে আছে মিয়ামির ম্যাচের টিকিটের জন্য। এছাড়া অনেক ভক্ত অধীর আগ্রহে সুযোগের অপেক্ষায় আছেন নিজের প্রিয় তারকার সঙ্গে ছবি তুলতে, অটোগ্রাফ নিতে। আর এমন কাজ করতে গিয়ে এবার নিজের চাকরি হারিয়ে বসেছেন এক ভক্ত।
 
মিয়ামি সবশেষ মাঠে নেমেছিল লিগ কাপের ম্যাচে অরলান্ডো সিটির বিপক্ষে। এ ম্যাচে জোড়া গোল করেন মেসি। ফলে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় ডেভিড বেকহামের দলের। তবে এমন ম্যাচের পর ফুটবল জাদুকরের অটোগ্রাফ নেয়ার কারণে চাকরি হারিয়েছেন স্টেডিয়ামে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়জিত থাকা ক্রিস্তিয়ান সালামাংকার।
 
কলম্বিয়ান বংশোদ্ভুত সালামাংকা পরিবারের সঙ্গে দেড় বছর ধরে থাকেন মিয়ামিতেই। তিনি কাজ করেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানে যারা বিভিন্ন ইভেন্টে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ করে থাকে। অরলান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের দিন সালামাংকাও এমন দায়িত্ব পালনে এসেছিলেন মিয়ামির ডিআরভি পিঙ্ক স্টেডিয়ামে।
 
প্রথমবারের মত মিয়ামির স্টেডিয়ামে কাজ করতে এসেই ফুটবল জাদুকরের দেখা পেয়ে যান সালামাংকা। শুধু তাই নয়, মেসিকে চ্যাম্পিয়ন বলে ডাকলে তাঁর ডাকে সাড়াও দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এরপর অটোগ্রাফও দিয়েছেন তিনি। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। ফুটবলারদের বিরক্ত করার দায়ে চাকরি হারিয়েছেন তিনি।
 
নিজের সঙ্গে ঘটা এমন কান্ডের ব্যাপারে সালামাংকা বলেন, ‘‌টিম বাসগুলো যে সেক্টরে রাখা ছিল, সেখানকার টয়লেট পরিষ্কার করার দায়িত্বে ছিলাম আমি। আমার ভাগ্য ভালো যে, বাসগুলো থেকে খেলোয়াড়রা যখন নামছিলেন, তখন সেখানে ছিলাম। সবার শেষ নামেন মেসি।’‌
 
এরপর তিনি মেসিকে ডাক দিয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘‌আমি তখন চিৎকার করে বলেছিলাম, ‘হে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’। এটা শুনে তিনি আমার দিকে ফিরে তাকান। আমি আমার ইউনিফর্ম তুলে আর্জেন্টিনার জার্সি বের করি এবং তিনি অটোগ্রাফ দেন। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা এলেন এবং আমাকে সেখান থেকে বের করে এনে চাকরি থেকেই বরখাস্ত করে দিলেন। তবে আমি প্রতিটা সেকেন্ড উপভোগ করেছি।’‌
 
এদিকে অটোগ্রাফ নেয়ার কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করায় অনেকে প্রশ্ন তুললেও সালামাংকা বিষয়টি মেনেই নিয়েছেন। তিনি এখানে পেশাদারিত্বের জায়গাকেই বড় করে দেখেছেন। কেননা এটা মিয়ামির নীতির মধ্যেই পড়ে যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুটবলারদের ছবি বা অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য বিরক্ত করতে পারবে না।

এমএসি/আরএইচ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়

Link copied